উৎপাদন
বিট লবণ উৎপাদনের কাঁচামালটি মূলত, হিমালয় লবণের শ্রেণীর খনি থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক হ্যালাইট হিসেবে, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কিছু নির্দিষ্ট জায়গা থেকে পাওয়া যায় অথবা, এর আবাদ করা হয় উত্তর ভারতের সম্ভার লবণ হ্রদ বা দিদওয়ানা এবং নেপালের মুস্তাঙ জেলায়।
প্রকৃতিতে, লবণটি তার তুলনামূলক রঙহীনরূপে পাওয়া যায়। এটিকে বিজারণ রাসায়নিক প্রক্রিয়া মাধ্যমে গাঢ় রঙের বিট নুনে পরিণত করে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির উপযোগী করা হয়। এর ফলে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত কাঁচা লবণের কিছু সোডিয়াম সালফেট তীব্র গন্ধযুক্ত সোডিয়াম সালফাইড এবং হাইড্রোজেন সালফাইডে রূপান্তরিত হয়।এর জন্য কাঠকয়লাসহ একটি সিরামিক ঘড়ায় বন্ধ করা কাঁচা নুনকে কোনও চুল্লিতে ২৪ ঘন্টা ধরে পোড়ানো হয়। এর সঙ্গে অল্প পরিমানে থাকে হারাদ বীজ, আমলকী, বাহেরা, বাবুল বাকল বা ন্যাট্রোন।আগুনে লবণ গলে যায়, রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, এরপর লবণকে ঠাণ্ডা করা হয়। বিক্রির আগে একে বেশ কিছুদিন বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়।এই পদ্ধতিতে উত্তর ভারতে হরিয়ানার হিসার জেলায় অনেক জায়গায় বিট নুন প্রস্তুত করা হয়।লবণের স্ফটিকগুলি কালো রঙের হয়, কিন্তু সূক্ষ্ম গুঁড়োতে পরিণত করলে গোলাপী রঙের হয়।
যদিও প্রাকৃতিক লবণে প্রয়োজনীয় মিশ্রণগুলি দিয়ে বিট নুন উৎপাদন করা যায়, এটি এখন সাধারণত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়। সাধারণত সোডিয়াম ক্লোরাইডে কম পরিমাণে সোডিয়াম সালফেট, সোডিয়াম বাইসালফেট এবং ফেরিক সালফেট মিশ্রিত করে এটি করা হয়। এরপর এটিকে চুল্লিতে কাঠকয়লা দিয়ে রাসায়নিকভাবে বিজারিত করা হয়। সোডিয়াম ক্লোরাইড, ৫-১০% সোডিয়াম কার্বোনেট, সোডিয়াম সালফেট এবং কিছু চিনির বিজারিত তাপীয় পদ্ধতির মাধ্যমে অনুরূপ পণ্য তৈরি করা সম্ভব।
Reviews
There are no reviews yet.