রুচিতে একঘেয়েমি চলে আসলে স্বাদ ফেরাতে মুখরোচক আচারের বিকল্প নেই। বিভিন্ন ধরনের আচারের মধ্যে চালতার আচার পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। আমাদের আচারটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি করা হয়। তাই আমাদের আচারটি স্বাদ ও মানে অনন্য।
চালতার এর বহু গুণাগুন রয়েছে। কিন্তু ফলটি সুধু একটি নিদর্ষ্ট সময়েই পাওয়া যায়। চালতার আচার চালতা সংরক্ষণের একটি আদি উপায় বলা যায়। চালতা-তে যেসব গুণাগুণ পরিলক্ষিত হয়, চালতার আচারেও সেসব গুণাগুন কমবেশি পাওয়া যায় । যেমনঃ
চালতায় আছে ক্যালসিয়াম, শর্করা, আমিষের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। এ ছাড়াও আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, থায়ামিন ও রিবোফ্লাবিন। তাই চালতা শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, তেমনি পুষ্টি পূরণেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
১। চালতা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ডায়রিয়া ও বদহজমে চালতা খান, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
২। অন্ত্রে বাসা বাঁধা কৃমির বিরুদ্ধে লড়ার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে চালতার।
৩। পাকস্থলীতে যাদের আলসার আছে, তাদের জন্য দাওয়াই হতে পারে চালতা।
৪। স্কার্ভি(ভিটামিন সি এর অভাবজনিত একটি রোগ) থেকে সুরক্ষা পেতেও চালতা খেতে পারেন।
৫। কুসুম গরম পানিতে চালতার রস আর একটু চিনি মিশিয়ে খেয়ে নিন, এটি রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করবে।
৬। গলা ব্যথা, বুকে কফ জমা, সর্দি প্রতিরোধে চালতার আছে এক অনন্য গুণ।
৭। হৃদযন্ত্র এবং যকৃৎ ভালো রাখার প্রয়োজনীয় সব উপাদান আছে চালতায়।
৮। এই ফল হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা কমাতেও খেতে পারেন।
৯। কানের যেকোনো সমস্যায়ও চালতা খেতে পারেন।
১০। নিয়মিত চালতা খেলে কিডনি যেমন ভালো থাকে, তেমনি কিডনির রোগগুলোও থাকে দূরে।
Reviews
There are no reviews yet.