পাটালী গুড়ের জীবনচক্র
খেজুর গাছ থেকে নির্গত সুস্বাদু রস থেকে খেজুর গুড় তৈরি হয়। অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে এবং সে রসকে ঘন ও শক্ত পাটালিগুড়ে পরিণত করা হয়।
বৃহত্তর রাজশাহীর চারঘাট, য়শোর ও ফরিদপুর জেলা, নদীয়া জেলার কিছু অংশ, বশিরহাট ও সাতক্ষীরা মহকুমায় এবং চবিবশ পরগনায় ব্যাপকভাবে খেজুর গাছের চাষ হয় এবং কিছুটা হয় ফরিদপুর অঞ্চলে। এখনও মূলত এসব এলাকাতেই খেজুরের গুড় বেশি উৎপাদিত হলেও বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কিছু কিছু খেজুর গুড় পাওয়া য়ায়।
সারা মৌসুমে রস আহরণকে ৬ দিন করে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে নেওয়া হয়। প্রথম রাতের রসকে বলা হয় জিড়ান, যা গুণে ও মানে সর্বোৎকৃষ্ট এবং পরিমাণেও সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় দিন বিকালে ওই গাছের কাটা অংশটুকু (চোখ) পরিষ্কার করা হয় এবং ওই রাত্রের নির্গত রসকে বলা হয় দোকাট। তবে তা জিড়ান-এর মতো সুস্বাদু কিংবা মিষ্টি নয় এবং পরিমাণেও হয় কম। তৃতীয় রাত্রের প্রাপ্ত রসকে বলা হয় ঝরা। ঝরা রস দোকাটের চেয়েও পরিমাণে কম এবং তা কম মিষ্টি ও অনেক ক্ষেত্রে টক স্বাদয়ুক্ত। পরবর্তী তিনদিন গাছকে অবসর দেওয়া হয়। এরপর আবার নতুন করে চাঁছা (কাটা) ও রস সংগ্রহের পালা শুরু হয়।
একটি মাঝারি মাপের সুস্থ খেজুর গাছ প্রতিদিন গড়ে ৬ লিটারের মতো রস দিয়ে থাকে। আবহাওয়া যত শীতার্ত এবং পরিচ্ছন্ন থাকে রস ততই পরিষ্কার ও মিষ্টি হয়। নভেম্বরের প্রথম দিকে রস আহরণ শুরু হলেও ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া য়ায়।
যে ব্যক্তি গাছে উঠে তা চাঁছা (কাটা) ও এ থেকে রস সংগ্রহ করার কাজ করে তাকে গাছি বলে। গুড় থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পাটালি গুড় তৈরি করা হয়। রাজশাহীর চারঘাট ও যশোরের খাজুরা বাজার নামক স্থানের বিশেষ ধরনের পাটালি গুড় এবং মাদারীপুর ও মানিকগঞ্জের হাজারী গুড় বিখ্যাত।
খেজুর রস খুবই সুস্বাদু। শীতকালে খেজুরের রস ও গুড় দিয়েপায়েস তৈরি হয়যা গ্রামবাংলার খুবই প্রিয় খাদ্য। এ ছাড়া খেজুরের গুড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন পিঠা, পায়েশ, ক্ষির, তালের পিঠা, খেজুর গুড়ের জিলাপি ইত্যাদি তৈরি হয়ে থাকে।
প্রথম রাতের রসকে বলা হয় জিডান, যা গুণে ও মানে সর্বোৎকৃষ্ট। অর্গানিক অনলাইনের পাটালী ও ঝোলাগুড় প্রথম রাতের রস থেকে তৈরী করা হয় ফলে খেতে খুবই সু-স্বাদু। আমাদের পাটালীগুড় রাজশাহীর বিখ্যাত চারঘাট এলাকা চাষীদের কাছ থেকে ন্যাচারাল ও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করে নিজেদের তত্ত্বাবধানে প্যাকেটজাত করা।
ত্বককে যদি রাখতে চান মসৃণ, বয়স যদি ধরে রাখতে চান, তবে খেজুর গুড় খান। ১০ গ্রাম গুড় থেকে পাওয়া যায় ১৬ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। প্রতিদিন শরীরে যে পরিমান ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়, তার ৪ শতাংশই আসে গুড় থেকে। খেজুর গুড় স্নায়ুতন্ত্রেও প্রক্রিয়া সচল রাখে ও অনিদ্রা দুর করে। চিনির চেয়ে গুড় বেশী পুষ্টিকর, কারণ গুড়ে চিনির চেয়ে শতকরা তেত্রিশ ভাগ পোষকতত্ত্ব (পুষ্টিগুন) বেশী আছে। নিয়মিত গুড় খেলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। কারণ গুড়ের পটাসিয়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে খাওয়ার বিশ মিনিট পর সামান্য গুড় খেয়ে নিতে পারেন।
Patali Goor – খেজুরের পাটালি গুড় 1kg
৳ 520.00 ৳ 470.00 1 kg
খেজুর গাছ থেকে নির্গত সুস্বাদু রস থেকে খেজুর গুড় তৈরি হয়। অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে এবং সে রসকে ঘন ও শক্ত পাটালিগুড়ে পরিণত করা হয়।
বৃহত্তর রাজশাহীর চারঘাট, যশোর ও ফরিদপুর জেলা, নদীয়া জেলার কিছু অংশ, বশিরহাট ও সাতক্ষীরা মহকুমায় এবং চবিবশ পরগনায় ব্যাপকভাবে খেজুর গাছের চাষ হয় এবং কিছুটা হয় ফরিদপুর অঞ্চলে। এখনও মূলত এসব এলাকাতেই খেজুরের গুড় বেশি উৎপাদিত হলেও বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কিছু কিছু খেজুর গুড় পাওয়া যায়।
সারা মৌসুমে রস আহরণকে ৬ দিন করে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে নেওয়া হয়। প্রথম রাতের রসকে বলা হয় জিড়ান, যা গুণে ও মানে সর্বোৎকৃষ্ট এবং পরিমাণেও সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় দিন বিকালে ওই গাছের কাটা অংশটুকু (চোখ) পরিষ্কার করা হয় এবং ওই রাত্রের নির্গত রসকে বলা হয় দোকাট। তবে তা জিড়ান-এর মতো সুস্বাদু কিংবা মিষ্টি নয় এবং পরিমাণেও হয় কম। তৃতীয় রাত্রের প্রাপ্ত রসকে বলা হয় ঝরা। ঝরা রস দোকাটের চেয়েও পরিমাণে কম এবং তা কম মিষ্টি ও অনেক ক্ষেত্রে টক স্বাদযুক্ত। পরবর্তী তিনদিন গাছকে অবসর দেওয়া হয়। এরপর আবার নতুন করে চাঁছা (কাটা) ও রস সংগ্রহের পালা শুরু হয়।
খাঁটি গুড় চেনার উপায়?
> খাঁটি গুড়ের পাটালি সাধারণত কম শক্ত হয়।
> পাটালি তুলনামুলক বেশী গাঢ় রঙ্গের হয়ে থাকে।
> ভেজাল গুড়ে চিনি, ফিটকিরি, ক্ষতিকারক হাইড্রোজ ইত্যাদি মেশানোর জন্য বেশী শক্ত এবং অনেকটা সাদা রঙ্গের হয়ে থাকে।
> খাঁটি গুড়ের পাটালি অল্প দিনে এবং বেশি তাপমাত্রায় গলে য়ায়।
Reviews
There are no reviews yet.