এই কম্বো প্যাকেজে থাকা প্রত্যেকটি তেল কোল্ড প্রেস এবং শতভাগ ক্যামিকেল মুক্ত এবং ন্যাচারাল । প্রত্যেকটি তেল ঔষুধি গুনের অধিকারী । চলুন জেনে নেই ঔষুধি গুন গুলো-
কালিজিরার তেলের উপকারীতা–
- কালিজিরার তেল সকাল রোগের প্রতিষেধক,
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি,
- হৃদরোগজনিত সমস্যার আশঙ্কা কমায়,
- ত্বকের সুস্বাস্থ্য, আর্থাইটিস ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে,
- চুলপড়া রোধ করতে সাহায্য করে,
- সর্দি সারাতে,
- বাতের ব্যাথা দূরীকরণে,
- বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে,
- দুগ্ধ দান কারিনীমা’দের দুধ বৃদ্ধির জন্য,
- ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে,
- শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে,
- শান্তিপূর্ণ ঘুমের প্রয়োজনে,
সতর্কতা:
গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।
তিসির তেলের উপকারিতা-
তিসির তেল ১০০০ বছর আগে থেকে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। বলা যায়, মানুষের আদিম সভ্যতার শুরু সময় থেকে তিসির তেলের ব্যবহার শুরু হয় এবং তা এখনও বিদ্যমান আছে
- তিসির তেলের মূল পুষ্টি-গুণ হচ্ছে ওমেগা ফ্যাটি -৩ এসিড। যা আমরা সাধারণত মাছের তেল থেকে পেয়ে থাকি।
- দেহের কোলন সিস্টেম উন্নত করে এবং পাকস্থলীর হজম কাজে সহয়তা করে।
- তাছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- তিসির তেল আপনাকে প্রাকৃতিক ভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। ALA (alpha linolenic acid) যা শরীরে থাকা ক্যান্সারের কোষ তৈরি হতে বাধা দেয়।
- হার্ট ভালো রাখে
তিলের তেলের উপকারিতাসমূহ :
একটি তেল রয়েছে, যা ব্যবহার করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এটি হচ্ছে তিলের তেল। তিলের বীজ ক্ষুদ্র হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স ভিটামিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ থাকে। এর থেকে তৈরি তেল শুধু রান্নার জন্যই নয়, চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দারুণ উপকারী।
- রান্নায় এ তেল ব্যবহার করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- এই তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এতে থাকা ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, তিলের তেল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- তিলের বীজের ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখে ও বলিরেখা প্রতিরোধ করে। প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবেও এ তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
- তিলের তেলে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত রাখে ও কপার, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের জন্য দারুণ উপকারী।
- মুখগহ্বর ও ক্ষুদ্রান্ত্র পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি দাঁত ঝকঝকে করতেও তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
- তিলের তেলে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- তিলের তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে তা রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে এবং চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
বাদাম তেলের উপকারিতাসমূহ :
বাদাম তেল স্বাদে মিষ্টি এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় উপকারি ফ্যাট, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কাজে আসে। সেই সঙ্গে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল, যা নানা ভাবে শরীরের কাজে লাগে।
- চুল ও বডি সফট করে: চিনা বাদামের তেল চুল গুলা সফট করতে সাহায্য করে আরো অনেক গুনাগুন আছে চাইলে শরীরেও ব্যবহার করা যায় খুবই সুন্দর ভাবে বডি সফট করে।
- ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:রাত্রে শোয়ার আগে অল্প করে বাদাম তেল নিয়ে মুখে এবং সারা শরীরে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। দেখবেন ত্বকের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরে পেতে সময়ই লাগবে না। প্রসঙ্গত, বাদাম তেলে উপস্থিত ভিটামিন এ, ব্রণর মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি ডার্ক সর্কেল এবং একজিমার মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে।
জলপাই তেলের উপকারিতাসমূহ :
অনেক গবেষণা থেকেই জানা গেছে যে, জলপাই তেল রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। রান্নায় এর ব্যবহার ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।নানা গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীরা জলপাইয়ের তেল গ্রহণ করেন তাদের অন্যান্যদের তুলনায় স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম। এই তেলে ’অলেরোপিয়ান’ নামক প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে।হাড় শক্ত করতেও জলপাইয়ের তেল কাজ করে। এই তেল খাওয়া হলে উচ্চ মাত্রায় অস্টিওক্যালসিন শরীরে প্রবেশ করে যা হাড় শক্ত করতে সহায়তা করে। ওজন কমানো সহজ কাজ নয়। তবে প্রতিদিন রান্নার তেলের বদলে যদি জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা হয় তাহলে দ্রুত ওজন হ্রাস পায়। পছন্দের খাবার জলপাইয়ের তেল দিয়ে রান্না করুন অথবা সালাদের উপরে ছড়িয় দিন; ওজন কমতে সহায়তা করবে। জলপাইয়ের তেলে আছে হতাশানাশক উপাদান। এটা সেরোটোনিন নামক হরমোন বাড়ায় ফলে হতাশা কমে। এই তেল ত্বক পরিষ্কার করে। ত্বকে জলপাইয়ের তেল মালিশ করলে তা লোমকূপে প্রবেশ করে ময়লা পরিষ্কার হয়। তাই মুখ পরিষ্কারের আগে জলপাইয়ের তেল মালিশ করে নিতে পারেন। মেকআপ তুলতে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল ত্বক কোমল রাখে ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।
নারিকেল তেলের উপকারিতাসমূহ :
নারিকেল তেলের নানা রকম উপকারিতার কথা আমরা জানি, দিন দিন অবশ্য গবেষণায় উঠে আসছে নারিকেল তেলের বিবিধ ব্যবহার। অনেক সমস্যার সমাধান মেলে এই নারিকেল তেলের ব্যবহারে। আর চুলের যত্নে নারিকেল তেলের ব্যাবহার আমাদের সকলেরই জানা। খুশকি দূর করতে নারিকেল তেলের নানা রকম ব্যাহার রয়েছে। তাছাড়া রান্নার কাজে ও আমাদের এই তেল ব্যবহার করা যাবে
Reviews
There are no reviews yet.