প্রত্যেকবারের মতো এবারও আমরা সুনামের সাথে কেমিক্যাল মুক্ত, পরিপক্ক ও সুস্বাদু আম ডেলিভারি দিচ্ছি।
বাজারে আমের মূল্য কম কারণ এক ট্রাক আম কিনলে অনেক কম মূল্যে আম ক্রয় করা যায়। তারপর কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে এই আম ১ মাসের অধিক সময় ধরে বিক্রি করা যায়। এভাবেই কম মূল্যের আম পাওয়া যায়। কেমিক্যাল যুক্ত,অসুস্বাদু ও অপরিপক্ক আম কম মূল্যে বাজারে আসে। কোয়ালিটি ভিন্ন কিন্তু একই আম, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দামে।
আম পাকতে ৩-৫ দিন সময় লাগার কারণ গাছ থেকে পরিপক্ব কাঁচা আমকে যদি কেমিক্যাল দেওয়া হয় তবে ১ দিনে আম পাকানো সম্ভব । কিন্তু যদি কেমিক্যাল দেওয়া না হয়, তবে প্রাকৃতিক ভাবে আম পাকতে ৩-৫ দিন সময় লাগে। আড়তদ্বারদের আম, গাছ থেকে নামানোর ১ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে কারন সেটাতে কেমিক্যাল থাকে। কিন্তু আমরা যেহেতু কেমিক্যাল মুক্ত আম দিবো, সেহেতু আমাদের আম আড়তদ্বারদের মতো এতদিন ভালো থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক । এজন্য আমরা অগ্রিম আম বেশি করে স্টোরেজ করিনা, অর্ডারের ভিত্তিতে গ্রাহকদের সরাসরি ফ্রেশ আম সরবরাহ করি।
একটু সতর্ক হলেই খুব সহজেই চিনে নেয়া যাবে ফরমালিনমুক্ত আম ।
আম সংরক্ষণ পদ্ধতি
সঠিক উপায়ে আম সংরক্ষণ না করলে ভালো আম কেনা সত্তে¡ও নিমিষেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার প্রিয় আমগুলো। তাই আসুন, আম সংরক্ষণের সঠিক উপায়গুলো জেনে নেই-
১. আম কেনার পর যত দ্রæত সম্ভব ব্যাগ থেকে বের করে ফেলতে হবে। হোম ডেলিভারী সার্ভিস বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম আসলে আম হাতে পাবার পরপরই যত দ্রæত সম্ভব বক্স/প্যাকেট থেকে বের করে ফেলতে হবে।
২. সরাসরি মেঝেতে না রেখে পরিষ্কার খড়, চটের বস্তা বা পেপার বিছিয়ে তার উপরে আম রাখতে হবে।
৩. আম রাখার সময় কোনোভাবেই যেন আমের কোনো অংশে আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমের কোন অংশে আঘাত লাগলে সেই অংশ কালো হয়ে পচন ধরে।
৪. ছায়া যুক্ত স্থানে যেখানে রোদ পরে না এমন স্থানে আম রাখতে হবে ।
৫. ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আম সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. ভাল আম পাকার পরে হলুদ রঙ হবে, কখনো সাদা রঙ হবে না।
৭. আম পেকেছে কিনা তা জানতে হাতে নিয়ে টিপে দেখা ঠিক না নাকে শুকে পরীক্ষা করতে হয়।
৮. ভাল মিষ্টি আম কাচা অবস্থায় খুব বেশি টক থাকে। তাই আম পাকার সঠিক সময়ের আগে খেলে অবশ্যই টক লাগবে।
৯. আমের বোঁটার কাছে আমের যে আঠা জমে থাকে তা না ধুয়ে খেলে মুখ চুলকাতে পারে, এমনকি চুলকানোর স্থানে ঘা এর মতো হতে পারে। তবে এটা জটিল কিছু না বরং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেরে যায়।
১০. কাঁচা আম রেফ্রিজারেটরে না রাখাই উত্তম। এতে করে আম পাকে না এবং কাঁচা অবস্থাতেই চুপসে যায়। তবে একান্ত কাঁচা আম খেতে চাইলে রাখা যেতে পারে।
১১. তুলনামূলক পাকা ও নরম আমগুলো বাছাই করে আগে খাওয়া উচিৎ। সব আম একসাথে না খেতে পারলে পাকা আম বাইরে না রেখে ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন।
১৩. আম বহনের ক্ষেত্রে পলিথিন ব্যবহার করা মোটেই ঠিক নয়।
১৪. আমের পরিমাণ বেশী হলে বাঁশের ঝুড়িতে আম বহন না করে শক্ত কাগজের কার্টুন, কাঠের বাক্স বা প্ল্যাস্টিকের ক্যারেট-এ বহন করা উচিৎ।
সারা বছর পর্যন্ত আম সংরক্ষণ করে রাখার কয়েকটি পদ্ধতি।
১ নাম্বার পদ্ধতিঃ পাকা আমের খোসা ছাড়িয়ে নিন ভালো করে। ছোট ছোট টুকরা করে জিপলক ব্যাগে রাখুন। একসঙ্গে বেশি না রেখে কয়েক টুকরা করে রাখুন একটি ব্যাগে। ব্যাগ মুখবন্ধ করে বাটিতে ঢুকিয়ে বাটি ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। সারা বছরই টাটকা থাকবে আম।
২ নাম্বার পদ্ধতিঃ আস্ত আম সংরক্ষণ করতে চাইলে প্রথমে কাগজের ব্যাগে আম গুলো রাখুন। এরপর ব্যাগটি একটি কাপড়ের ব্যাগে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে দিন। ব্যাগটি অন্য একটি পলিথিন ব্যাগে রাখতে হবে। তারপর ব্যাগটি রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে আম।
৩ নাম্বার পদ্ধতিঃ প্রথমে আম ছোট ছোট টুকরা করে বেøন্ড করে নিন। বরফ জমানোর পাত্রে কিংবা আইসক্রিমের কাপে ছোট ছোট করে জমান আমের মিশ্রণ। জমে যাওয়া বরফের টুকরো ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে ট্রে কিংবা বাটি থেকে উঠিয়ে জিপলক ব্যাগে ঢুকিয়ে নিন। তারপর ব্যাগটি মুখবন্ধ বাটিতে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। পুরো বছরই খেতে পারবেন সুস্বাদু আম। (ইন্টারনেট হতে সংগ্রহকৃত)
আপনার চাহিদা জানিয়ে আমাদের প্রি-অডার করুন। আমরা বাগানের গ্রেড-এ মানের প্রিজারভেটিভবিহীন নিরাপদ আম সরবরাহ করছি। গাছ থেকে নামানো থেকে শুরু করে ডেলিভালী দেয়া পযন্ত প্রতিটি ধাপে স্বাস্থবিধি অনুসরণ করা হয়। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন আমাদের আম। আম দেখে পছন্দ হলে তবেই ডেলিভারীম্যানকে মুল্য পরিশোধ করবেন। পছন্দ না হলে কোনরকম সাভিস চাজ ছাড়াই ফেরত দিতে পারবেন।
১ম অর্ডারে ৫% ডিসকাউন্ট!
কুপন কোড – 7222
Reviews
There are no reviews yet.