News

কেন খাবেন লাল চাল?

খোসা ফেলে দেওয়ার পরও লাল চালের গায়ে একটি আবরণ থাকে। যা এর পুষ্টি উপাদানগুলোকে অক্ষত রাখে। আর এতে রয়েছে সাধারণ সাদা চালের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ খাদ্য আঁশ, খনিজ পুষ্টি এবং ভিটামিন। এই চাল বাজারজাতকরণের সময় তীব্র প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং মসৃণকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না। ফলে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, লাল চাল বেশি স্বাস্থ্যকর, বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং বেশি সুস্বাদু।

এছাড়া সাদা চালে শুধু ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণই বেশি থাকে। অন্য পুষ্টি উপাদান কম থাকে। ফলে তা ডায়াবেটিস ও স্থুলতাসহ নানা রোগের কারণ হয়ে ওঠে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই খাদ্য তালিকা থেকে চালকে পুরোপুরি বাদ না দিয়ে বরং লাল চালকে যুক্ত করাটাই বেশি স্বাস্থ্যকর হবে। এখানে লাল চালের অজানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতাগুলো তুলে ধরা হলো।

১. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ
লাল চালে রয়েছে ফাইটিক এসিড, ফাইবার এবং এসেনসিয়াল পলিফেনলস। এটি হলো এমন একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের দেহে সুগারের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। এবং আমাদেরকে ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত রাখে। লাল চাল লো গ্লিসেমিক ইনডেক্স ফুড। তার মানে হলো হজমের পর লাল চাল থেকে সুগার কমহারে নিঃসরিত হয়। ফলে হুট করেই রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না এবং ভালোভাবে দেহে শোষিত ও অপসারিত হয়। অন্যদিকে সাদা চাল হলো হাই গ্লিসেমিক ইনডেক্স ফুড যা সহজেই চর্বি জমায়। ফলে লাল চালের ভাত খাওয়ায় অভ্যস্থ হলে আপনি দীর্ঘ-মেয়াদি একটি জীবন-যাপন করতে পারবেন।

২. হাড়ের স্বাস্থ্য
লাল চাল আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এটি ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। যা আমাদের হাড়কে শক্ত এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সহায়ক।

৩. হৃদরোগ প্রতিরোধ
লাল চাল রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে কোনো ধরনের ব্লক তৈরি হতে দেয় না। এতে আরও আছে সেলেনিয়াম নামের একটি উপাদান যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। এটি হাইপারটনেশন এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৪. হজমের জন্য ভালো
উচ্চ হারে আঁশ থাকায় এটি হজমে সহায়ক এবং গ্যাস শোষণ প্রতিরোধ করে। ফলে হজম প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালি করে তোলে।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ
এতে আছে ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস। যা দেহের চর্বি সংশ্লেষণ এবং স্থুলতা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এর উচ্চ আঁশযুক্ত উপাদান আপানার পেট দীর্ঘক্ষণ ভরিয়ে রাখে এবং অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে বিরত রাখে।

৬. মেটাবোলিক সিন্ড্রোমের ঝুঁকি কমায়
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ আঁশযুক্ত এবং কম গ্লিসেমিক উপাদনযুক্ত খাদ্য শস্য যেমন লাল চাল খেলে মেটাবোলিক সিন্ড্রোম সৃষ্টির ঝুঁকি কমে।

৭. কোলোস্টেরল কমায়
লাল চালে যে তেল আছে তা এলডিএল কোলোস্টেরল ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনে বলে কথিত আছে। আর এ কারণেই লাল চাল আমাদের খাদ্য তালিকার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর একটি শস্য। লাল চালে থাকা আঁশ হজম পক্রিয়ায় কোলোস্টেরলকে বেধে ফেলে এবং তা নিঃসরণে সহায়তা করে।

৮. শক্তি বাড়ায়
লাল চালে আছে ম্যাগনেশিয়াম যা আমাদের শক্তি বাড়াতে সহায়ক। এটি কার্বোহাইড্রেটস এবং প্রোটিনকে শক্তিতে রুপান্তর করে। যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় রাখে।

৯. পাথুরি রোগ প্রতিরোধ
অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশযুক্ত পূর্ণ শস্য যেমন লাল চাল পিত্তে পাথর হওয়াও ঝুঁকি কমায়। অ্যামেরিকান জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারীরা আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান তাদের মধ্যে পিত্তে পাথর হওয়ার ঝুঁকি ১৩% কম থাকে।

6 thoughts on “কেন খাবেন লাল চাল?

  1. Thanks for your great information. Love this.

  2. Sauda Tasnim says:

    লাল চাউল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেলাম৷ আপনাদের কাছে কি লাল চাউল বর্তমানে এ্যাভেইলেবল আছে? এবং কুষ্টিয়াতে কি হোম-ডেলিভারি দিতে পারবেন আপনারা? জানাবেন কাইন্ডলি৷ আমি অর্ডার করতে চাচ্ছি৷ ধন্যবাদ!

    1. kazinihal13 says:

      লাল চাল বর্তমানে এ্যাভেইএ্যাবেল আছে।
      হোম ডেলিভারি তে ওর্ডার করতে কল করুন – 01717829143 / 01841217870
      অথবা, মেসেজ দিন Whatsapp এ – 01717829143

      1. Sanjida says:

        কত টাকা কেজি?

        1. kazinihal13 says:

          100 Taka/K.G.

  3. porno izle says:

    Thanks for sharing, this is a fantastic post. Really thank you! Want more. Dirk Anglen

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *