ওষুধি গুণাগুণ: ওষুধ তৈরিতে এর বীজ বেশি ব্যবহার করা হয়। গ্রস্থি এবং মুত্রথলির কার্যক্রম বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে সহায়তা করে।শরীরের অবাঞ্ছিত দ্রব্য নি:স্বরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শাহী জিরার তেল পেট ফাঁপা নিরাময় করে। পাকস্থলির কাযর্ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। পেটের গ্যাস মুক্ত করে, বক্র কৃমি হলে ব্যবহার করা হয়। চুলকানীতে এর তেল ব্যবহার করা হয়। আস্ত শাহী জিরা বা এর গুড়া শর্করা জাতীয় খাবার হজম করতে সহায়তা করে যেমন: পেস্ট্রি, রেুটি, বিস্কিট,শাকসবজির মধ্যে বাঁধা কপি, কুমড়া, এবং পেঁয়াজ। সালাদ, সুপ, বিস্কিট, কেকারস, কেক, লজেন্স, কোকি এবং পনীর তৈরীতে শাহীজিরা ব্যবহার করা হয়। বীজ ছাড়াও শাহী জিরার পাতা এবং শিকড় ব্যবহার উপযোগী মনে করা হয়।
পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রামে
জলীয়পদার্থ ৪.৫%
প্রোটিন ৭.৬%
ফ্যাট ৮.৮%
কার্বেহাইড্রেট ৫০.২%
ক্যালসিয়াম ১.০%
ফসফরাস ০.১১%
সোডিযাম ০.০২%
পটাশিয়াম ১.৯%
আয়রন ০.০৯%
থায়ামিন ৩.৩৮%
রাইবোফ্লাভিন ০.৩৮%
নিয়াসিন ৮.১%
ভিটামিন-সি ১২.০%
ভিটামিন-এ ৫৮০ আই, ইউ
খাদ্যশক্তি ৪৬৫
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জিরার কিছু কাজ:
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের বেশি করে শাহী জিরা খাওয়া দরকার। মসলাটি শুধু তাদের ডায়েটকে নিয়ন্ত্রণে রাখে না; একইসাথে রক্তে চিনির পরিমাণও কমিয়ে দেয়।
পৌষ্টিক স্বাস্থ্য
শাহী জিরা পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। বদহজম, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা প্রভৃতি রোগ উপশমে শাহী জিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শাহী জিরা বমি বমি ভাব দূর করে। এছাড়া শাহী জিরাতে থাইমোল রয়েছে; যা পাকস্থলিতে এসিড উৎপাদন করে খাদ্য থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি লাভে সহায়তা করে।
দূষণরোধ
শাহী জিরা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। কিডনি ও লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিয়ে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে যেতে পারে। ফলে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ থেকে শরীর পায় সুরক্ষা।
ত্বকের সুরক্ষা
লাল লাল ফুসকুড়ি, ব্রণ ইত্যাদি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য হয়। বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বের হয়ে গেলে ত্বকের উপর এর প্রভাব কমে আসে। শাহী জিরা পাচনতন্ত্রের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে ত্বকের সুরক্ষাও দিয়ে থাকে।
হাঁপানি
হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীরা শাহী জিরা বীজের সুবাস নিলে ভালো উপকার পেতে পারেন।
মাসিক নিয়মিত করে
যেসব নারীরা অনিয়মিত মাসিক সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য শাহী জিরা ভালো কাজ দেয়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
রক্তস্বল্পতার সমাধান করে
শাহী জিরায় প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকায় তা হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে বাড়াতে সাহায্য করে। যারা রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য ভালো কাজ করে মসলাটি।
বয়স কমিয়ে দেয়
তারুণ্য ধরে রাখতে জিরা খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কাজেই বয়সের ছাপ রুখতে মসলাটি কম-বেশি সব তরকারিতে খাওয়া ভালো।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান
গ্যাস্ট্রিকে সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে শাহী জিরা।
রক্ত বিশুদ্ধকরণ
রক্তকে বিশুদ্ধ করতে শাহী জিরার বিকল্প নেই। প্রতিদিনের খাবারে শাহী জিরার গুঁড়া দিলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক ভালো।
ক্যান্সার প্রতিরোধক
গবেষণায় দেখা গেছে, শাহী জিরাতে শক্তিশালী ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি পেট ও লিভার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব রাখতে পারে। এছাড়া শাহী জিরাতে বিদ্যমান এন্টি-ফ্রির্যা ডিকেলস উপাদান ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করে।
এছাড়া কিডনি সমস্যাসহ খুশকি দূর করা, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা সমস্যা, হজমশক্তি বাড়ানো ও বিপাকীয় কার্যকলাপে ভূমিকা রাখে শাহী জিরা। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাহী জিরা খাওয়ার বিকল্প নেই।
Reviews
There are no reviews yet.