পরিমাণ বুঝে ঘি খান
ওজন কমাতে খাদ্যতালিকা থেকে ঘি বাদ দেওয়া সাধারণ ধারণা হলেও আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞান বলছে উল্টো।
অনেকেই মনে করেন ওজন কমানোর সহজ উপায় হল খাদ্য তালিকা থেকে চিনি, ভাত, তৈলাক্ত খাবার বাদ দেওয়া। তবে পরিমিত পরিমাণে খেলে অপকারের চাইতে উপকারই বেশি।
সেই পরিমাণটা কতটুকু? পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ঘি খাওয়ার পরিমাপের বিষয়ে এখানে জানানো হল।
ওজন কমাতে ঘি পরিপন্থি নয়: ঘি স্বাস্থ্যকর খাবারের শত্রু নয়। বরং এটা স্বাস্থ্যকর চর্বি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে ঘি ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। গরুর দুধের তৈরি ঘি শরীর থেকে উম্নুক্ত রেডিকল দূর করে এবং শরীরের ভেতরে পরিবর্তন যেমন- স্মৃতিভ্রংশ প্রতিরোধ করতে পারে।
উপকারিতা: ঘি শরীরে শক্তি যোগায় এবং বিষাক্ত পদার্থ দূরে করে। ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে এর সমন্বয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বক সুন্দর করে, অস্থিসন্ধি ও হার শক্তিশালী করতে ঘি সহায়তা করে।
ওজন কমাতে ঘি: পুষ্টিবিদদের মতে, ঘিয়ের ‘বিউটাইরিক অ্যাসিড’ শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। শর্ত একটাই- তা হল অতিরিক্ত ঘি খাওয়া যাবে না। যদি ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন দুই চামচ ঘি খান। অতিরিক্ত ঘি ধমনী পুরু করে ফেলে বিশেষ করে মহিষের ঘি। সেই সঙ্গে বিপাকের হার কমায়।
কাঁচা ঘি: কাঁচা ঘি খাওয়া বেশি উপকারী। সৌতে বা ভেজে না খেয়ে সকালে খালি পেটে এক চা-চামচ ঘি খেলে, ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি সবজি, তরকারি এমনকি রুটি দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যকর পন্থা।
Reviews
There are no reviews yet.